কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা না থাকায় ভারতে
যাওয়া আসার সুযোগ নেই এই বন্দর দিয়ে। তবে, পুরোদমে চলছে পণ্য
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। পণ্যের গুণগত মান না দেখে বিশ্বাসের ওপর ভর করে
ক্রয়াদেশ দেয়ায় বেশিরভাগ সময়ই প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছেন বলে অভিযোগ
আমদানিকারকদের।
করোনার কারণে প্রায় ৪ মাস বন্ধ থাকার পর ফের কর্মমুখর হয়ে উঠেছে
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী এবং ভারতের আসাম
রাজ্যের গোলকগঞ্জ থানার সীমান্তে সোনাহাট স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে
প্রতিদিন ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য থেকে কয়লা ও পাথর নিয়ে শতাধিক ট্রাক
আসে এই বন্দরে। আর পোশাক কারখানার ঝুট, পারটেক্স এবং মশারির নেটের চলান
নিয়ে ১০টির মতো ট্রাক যায় ভারতে।
এ অবস্থায় বন্দরের অভ্যন্তরের দুই কিলোমিটারের মতো খানাখন্দকে ভরা অপ্রশস্থ
সড়ক ভারি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি শুধু বিশ্বাসের
ওপর পাথর-কয়লা আনতে গেলে গছিয়ে দিচ্ছে নিম্নমানের মালামাল, জানালেন
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, ইমিগ্রেশন না থাকায় আমরা যে মানের কয়লা চাই, তারা তাদের
ইচ্ছেমতো যে মানের কয়লা দেয় তাই আমাদের নিতে হয়। আর এ কারণে বেশ আর্থিক
ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
এ বন্দর ব্যবহারকারী আমদানিকারকরা ভারতে যেতে চাইলে কাছের লালমনিরহাটের
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন দিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এতে প্রায় ৪শ' কিলোমিটার পথ
ঘুরে যেতে হয় তাদের। তাই তারা বেশিরভাগ সময়ই পণ্যের মান যাচাই না করেই
ক্রয়াদেশ দিয়ে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে সোনাহাট স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার
রকীব আহমেদ জুয়েল জানান, ইমিগ্রেশন না থাকায় ব্যবসায়ীরা দ্বিপাক্ষিক কোন
বৈঠকের আয়োজন করতে পারছে না। আর এতে করে ব্যবসার প্রসারও ঘটছে না।
আমদানি কার্যক্রম বাড়তে থাকায় চলতি অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রার ২০ কোটি টাকা
রাজস্ব আয় সম্ভব হবে বলে জানান সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব
কর্মকর্তা কাজী রকিবুল হাসান।
বন্দরের সমস্যাগুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন।
স্থলবন্দরটি ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলেও পুরোদমে চালু হয় ২০১৪ সালে।